ইন্দো-বাংলা যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হলো ‘ভেজা শালিক’

0
1079

 চলচ্চিত্রের আঙিনায় নতুন এক ঘরানার চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে হাত দিলেন পরিচালক জহির রায়হন। ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রয়োজনায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রকে বলা হচ্ছে ফিল্মস অব পোয়েট্রি বা কবিতার চলচ্চিত্র। ছবিতে অভিনয় করেছেন ভারতের দু’জন শিল্পী। অরুণিমা চরিত্রে কর্মিতা বণিক এবং কবির চরিত্রে শুভাশীষ কর।

স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আঙিকে নির্মিত মোট আটটি কবিতা নিয়ে তৈরি হবে আলাদা আলাদা চলচ্চিত্র।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অনিন্দ্য অমাত, আবিদ আজাদ, সুবোধ সরকার এবং রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র কবিতা নিয়ে নির্মিত হবে এই আটটি চলচ্চিত্র। ভারত এবং বাংলাদেশের শিল্পী এবং কলাকুশলীদের সমন্বয়ে তৈরি হবে এই চলচিত্র নির্মানের কাজ।যার সবগুলো চলচ্চিত্রই নির্মাণ করবেন পরিচালক জহির রায়হান।

সদ্য শেষ হলো অনিন্দ্য অমাতের কবিতা ‘ভেজা শালিক’ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের কাজ।এই সিনেমার গল্প মূলত অরুণিমা নাকম একটি চরিত্রকে ঘিরে।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই অরুণিমার শালিক পাখির প্রতি দূর্বলতা।শালিক দেখলেই সে হা হয়ে তাকিয়ে থাকতো, শালিকের সাথে গল্প করতো এবং সে মনে মনে একদিন শালিক হওয়ার স্বপ্ন বুনতো। অরুণিমা যখন শালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতো, কবিও তখনও স্বপ্ন দেখতো বৃষ্টি হবার। কিন্তু নিয়তির দূর্বিপাকে অরুণিমার সাথে কবির বিচ্ছেদ ঘটে যায়।অতঃপর জীবনের শেষপ্রান্তে এসে নিঃসঙ্গ কবি পথের বাঁকে বাঁকে শালিক পাখি খুঁজতে থাকে। কোথাও শালিক পাখি দেখলে কবির অস্থির ছুটোছুটি জানান দেয়- শালিক পাখির ভীড়েই কবি তার অরুণিমাকে খুঁজছে।অবশেষে কোনো এক মেঘাচ্ছন্ন বিকেলে একটি শালিক উড়ে এসে কবির বারান্দার সামনে বিদ্যুৎএর তারের ওপরে এসে বসে। আর তখন আকাশ থেকে ঝমঝমিয়ে নেমে আসে বৃষ্টি।কবি উন্মাদ হয়ে ভাবতে থাকে অরুণিমা ভিজে যাচ্ছে। সে চিৎকার করে শালিক পাখিটিকে অরুণিমা নাম ধরে ডাকতে থাকে।আর তখনই শালিক পাখি বৃষ্টি মাথায় উড়ে যায়। এভাবেই এগিয়ে চলে “ভেজা শালিক’ এর গল্প।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here