কানাডা থেকে মো: বাদল হোসেন, সাব-এডিটর আনন্দ বিনোদন : খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে জাস্টিন ট্রুডো জন্ম গ্রহণ করে, তার বাবা পিয়েরে ট্রুডো, তার মায়ের নাম মার্গারেট ট্রুডো, বাবা ছিলেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পিয়েরে ট্রুডোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আধুনিক কানাডার ইতিহাস। কানাডার বিচিত্র সংস্কৃতিচর্চার প্রবক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
সেই ১৯৭২ কানাডার অটোয়াতে এক রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর সঙ্গে নিক্সনের রাজনৈতিক সম্পর্কটি মধুর না হলেও তারা এক রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় মিলিত হলেন। সেই ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর সঙ্গে অংশ নেন তার পরিবারের সদস্যরাও। ভোজসভায় অংশ নেওয়া সবচেয়ে কম বয়সী সদস্যটি হলেন জাস্টিন ট্রুডো। মায়ের কোলে থাকা ট্রুডোর বয়স তখন মাত্র চার মাস। কিন্তু এই কোলের শিশুটিই দৃষ্টি কাড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ছোট্ট ট্রুডোর দিকে তাকিয়ে তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন,জাস্টিন ট্রুডো কে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ‘এই শিশুটি একদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবে।’ ৪৩ বছর পর সেই ভবিষ্যদ্বাণীটি মিলে গেল অক্ষরে অক্ষরে। সত্যি সত্যিই কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন জাস্টিন ট্রুডো। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন জাস্টিন ট্রুডো। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন একজন প্রধানমন্ত্রী হন যার বাবাও ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। জাস্টিন ট্রুডো কঠিন মনোবল ও স্বতঃস্ফূর্ত মন নিয়ে তিনি এগিয়ে গেছেন সামনের দিকে। ১৯৯৪ সালে সে পড়াশোনা শেষ করে। তিনি ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর যুক্ত হন শিক্ষকতার সঙ্গে। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত একটি স্কুলে গণিত এবং ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখাতেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের তিনি অভিনয় শেখাতেন।
মজার ব্যপার হলো, জাস্টিন ট্রুডো তিনি একটি কানাডিয়ান সিনেমায় অভিনয় করেছেন। গ্রেট ওয়ার নামে ওই সিনেমাটি ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে। সিনেমায় তিনি কানাডার এক বীরের ভূমিকায় অভিনয় করেন, যিনি একজন আইনজীবী ছিলেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওই বীর যুদ্ধে নিহত হয় এবং তার লাশ কখনোই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক জন মানবতার ফেরিওয়ালা , মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন, বিগত করোনায় ( কভিড ১৯) চলাকালীন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। স্ত্রীর নাম সোফি গ্রেগরি ট্রুডো, তিনি একজন প্রাক্তন টেলিভিশন হোস্ট ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। মেয়ে এলা গ্রেস এবং দুই ছেলে হ্যাড্রিয়েন ও জেভিয়ার।