বর্ণিল ঈদ আয়োজনে সাজছে কানাডিয়ান বাঙালি ইউনিটি

0
257

মো: বাদল হোসেন কানাডা থেকে: ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানে হাসিখুশি।  প্রবাস জীবন  কর্মব্যস্ত জীবন সেটা খুব অনুভূত হয়। কানাডা বিশাল এক দেশ। এর প্রায় সব জায়গাতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বাঙালিরা রয়েছে । এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে টরন্টোতে। আর টরন্টোতে বাংলাদেশিদের পাড়া হচ্ছে ড্যানফোর্থ এলাকা। ঈদ এলেই ড্যানফোর্থের প্রাণচাঞ্চল্য যেন আরও বেড়ে যায়।

দোকানে দোকানে মানুষের ভিড়। বাচ্চাদের পোশাক।

বাহারি রকমের  বাঙালি খাবারের দোকান—বাহারি সব ইফতারির আইটেম।  ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় অনেক সময় অল্প কয়জন এক হয় কারও বাসায়। মেহেদি দিতে বসে মেয়েরা। কোনো এক আপু বা ভাবির তখন ভারি কদর বেড়ে যায়। তাঁর মেহেদি লাগানোর ব্যস্থ্য সময় পার করে। পাশের ঘরে চায়ের আড্ডায় তারা তখন হাতি-ঘোড়া মারতে ব্যস্ত। টরন্টোজুড়েই এখন অনেক মসজিদ। টরন্টোতে এমনকি বাইরে খোলা মাঠেও ঈদের জামাত হয়। অনেকটা আমাদের ঈদগাহের মতো। এখানকার ডেনটোনিয়া পার্কে ঈদের জামাত হয়ে থাকে।

এখানে ঈদের জন্য কোনো আলাদা ছুটি নেই।  তা সেটা বাচ্চাদের স্কুলই হোক বা বড়দের কাজের জায়গা। কানাডা সমাজের ডাইভার্সিটি বা বৈচিত্র্যকে খুবই উৎসাহ দেয়। এখানকার মূলধারার স্টোরগুলোতেও (যেমন ওয়ালমার্ট) দেখা যায়, ঈদের শুভেচ্ছা উপহার দিতে।

রসনাপ্রিয় বাঙালির দেখা মেলে এই ঈদের দাওয়াতেই। কী নেই সেখানে! চিনিগুড়া চালের পোলাও, চিকেন রোস্ট, মাটন রেজালা, গরুর মাংস, শামি কাবাব, ফিরনি-পায়েসের মতো অসংখ্য আইটেম তো রয়েছেই। তার সঙ্গে যোগ হয় কোয়েলের রোস্ট, শাহি টুকরা, বাটার চিকেন, তন্দুরি আরও কত-কি, প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে পাওয়া এই ঈদের আনন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here