বিএফডিসির আগামী দিনে কে দিবে নেতৃত্ব

0
756

এস.এ.এম সুমন, সম্পাদক ,আনন্দ বিনোদন : সকল জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে আজ সকাল ৯টায় শুরু হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির  নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যদিও অনেক সাংবাদিক ও সংবাদ কর্মীরা সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি ছিলো কিন্তু  বিএফডিসি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এবং অবমূল্যায়ন করায় সেখানে অনেকেই যাচ্ছে না। ইতিপূর্বেও বিএফডিসির অব্যবস্থাপনা এবং নৈরাজ্যের কারনে অযত্নে অবহেলায় বিনোদনের খোরাক জোগানোর এক মাত্র আঁতুড় ঘর, বিএফডিসি আজ ধ্বংসের মুখে। বিগত বছরগুলোতে একেক সময় একেক জন তাদের আধিপত্য বিস্তার করে। প্রতিনিয়ত নিজেদের খেয়াল খুশি মতো চলে আসছে বিগতো দিন গুলো। বিএফডিসিরতে ১৭ থেকে ১৮ টি বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান গুলো আসলে কে কি কাজ বা কি তাদের উদ্দেশ্য করো কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারোপ্রতি কারো কোনো জবাবদিহিতা নেই। কে আসলে চালাচ্ছে এই শিল্পসংস্থাটি। এ সব কিছুর পেছনে ফেলে তবুও চলেছে প্রতিবারের মতো নির্বাচন। সহকারী পরিচালক সমিতির একজন কার্যকারী মোহাম্মদ হোসেন ফিলিপস্ তার প্রতিক্রিয়া জানতে চায়লে তিনি জানান, আসলে এই সংস্থাটিতে চলে লুটপাটের রাজনীতি কেও আসলে এটির উন্নয়ন মূলক কোন কাজ করেরা। ঘুরেফিরে দেখা গেলো কতো শত নতুন মুখ তারা কিন্তু বিএফডিসির সদস্য বছরে এক-আধ বার আসে। সবার মুখে একি কথা। নির্বাচনে যেই জিতুক মুদ্রার এপিট ওপিঠ। যে-ই লংকায় যায় সেই রাবণ হয়। দেখা যাক নুতন করে চলচিত্রের উন্নয়নের জন্য এবার কে কাজ করে সরাব মুখে একি সুর। তবে সবার একি কথা নুতন কাউকে তাঁরা নির্বাচিত করবে।

 বিএফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ৪২৮ জন ভোটার ২১টি পদে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করবেন।

নির্বাচনে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুন।

অন্যদিকে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রার্থী খলচরিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। এই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

দু’টি সহ-সভাপতি পদে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের প্রার্থী চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ডি এ তায়েব। অন্যদিকে এই দুই পদে মিশা-জায়েদ প্যানেলের প্রার্থী চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল ও খলচরিত্রের অভিনেতা ডিপজল।

সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে লড়ছেন কাঞ্চন-নিপুন পরিষদের যথাক্রমে সায়মন ও শাহনূর। এই দুই পদে মিশা-জায়েদ পরিষদের প্রার্থী যথাক্রমে সুব্রত ও আলেকজান্ডার বো।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী নিরব ও জয় চৌধুরী। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান ও জ্যাকি আলমগীর। ইমন ও জাকির হোসেনের লড়াই হবে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে। কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ফরহাদ ও আজাদ খান।

১১টি কার্যনিবার্হী সদস্য পদের জন্য নির্বাচনে লড়ছেন ২৪ জন। তারা হলেন— অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, অমিত হাসান, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, আসিফ ইকবাল, কেয়া, গাংগুয়া, চুন্নু, জেসমিন, ডন, নাদির খান, নানা শাহ, ফেরদৌস, বাপ্পারাজ, মৌসুমী, হরবোলা, রোজিনা, শাকিল খান, সুচরিতা, সাংকুপাঞ্জা, সীমান্ত ও হাসান জাহাঙ্গীর।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা হারুন। কমিশনের বাকি দুই সদস্য বি এইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী।

নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন আপিল বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এখন শুধু  অপেক্ষার পালা, কে দিবে আগামীদিনের শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here