পিন্টু বিশ্বাস: নতুনের প্রতি সবার আকর্ষন একটি চিরাচরিত ব্যাপার । নতুনকে বরনের আয়োজনটাও তাই উচ্ছ্বাসমুখর । আর তা যদি হয় বাংলা সাংস্কৃতির শেকড় “ বাউল সংগীত ”, তখন তা রূপ নেয় বাঙ্গালীর মিলন মেলার উৎসবে । সেই উৎসবের ছোট্ট একটি আয়োজন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কিশোর পলাশ । বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলায় এক বাঙ্গালী পরিবারে এই সঙ্গীতশিল্পী ১৯৮৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহন করেন । নাম মোঃ হাবিবুর রহমান, ডাক নাম কিশোর পলাশ । বাবা আশরাফ আলী পেশায় সরকারী চাকুরীজীবি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জেল এ কর্মরত আছেন । মা পারভীন বেগম একজন গৃহিনী । দুই ভাই এক বোনের, কিশোর পলাশ সবার বড় । বাবার চাকুরীর কারনেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলা কারাগারে তার বেড়ে ওঠা এবং পথচলা ।
সংগীতের হাতেখড়িঃ
কিশোর পলাশের বাবা একজন বাউল সাধক । বাবার সান্নিদ্বেই তার গানের সাথে পরিচয় । জ্ঞান হবার পর থেকেই বাবার মুখে গান শুনে তার বেড়ে ওঠা । আর তখন থেকেই গান তার অন্তর আত্নার সাথে মিশে গেছে । বিভিন্ন জেলায় থাকা কালীন সময়ে সংগীতের তালিম নিয়েছে , শিল্পকলা একাডেমী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমী , আর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে। কিশোর পলাশের প্রকাশিত একক এ্যালবামগুলো হল—। একজোড়া (২০১২), জয়গুরু (২০১৩), ভবের বাড়ি (২০১৪), দয়াল (২০১৫), সন্ন্যাসী (২০১৭)।জনপ্রিয় গান : আমার ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল, ভবের বাড়ি, মনে লয় ডুবিতাম যমুনায়, সোনাবন্ধুর গান শুনিয়া, দিল দিয়া যারে ভালবাসিলাম, ঘর লড়বর করে, যৌবন গেলে আর প্রেম হবে না, দয়াল, কলঙ্কী । এ ছাড়া প্লেব্যাক বেশ কয়েকটি ছায়াছবিতে : অদৃশ্য শত্রু, নাইওর, অন্যপথ । টেলিফিল্ম : ছেঁড়া পাল, ধারাবাহিক নাটক : সংসূত্র, ভাঙ্গা তরী ও বাসন্তি টি ষ্টল । বিজ্ঞাপন : হরলিক্স ও গ্লাকোস ডি ।“একজোড়া” শিরোনামের যৌথ এ্যালবামের মাধ্যমে ২০১২ সঙ্গীতাঙ্গনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন কিশোর পলাশ। পরের বছরই প্রকাশ হয় তার প্রথম একক এ্যালবাম জয় গুরু। প্রথম এ্যালবামেই বাজিমাত করেন কিশোর পলাশ। এ্যালবামের আমার ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল গানটি শ্রোতা মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এছাড়াও গ্রামগঞ্জে, মনেলয় ডুবিতাম যমুনায়, সোনাবন্ধুর গান শুনিয়া, আমার ঘর নড়বড় করে গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৪ তে ভবের বাড়ি এ্যালবামের মাধ্যমে তার সেই জনপ্রিয়তাকে আরো মজবুদ করা সহ শ্রোতাদের মাঝে নিজস্ব একটা পরিমন্ডল গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। ভবের বাড়ি এ্যালবামটির ভবের বাড়ি, যৌবন গেলে প্রেম হবেনা সহ আরো বেশ কয়েকটি গান যোগ হয় তার জনপ্রিয় গানের খাতায়। তারপর দয়াল সন্ন্যাসীর মতো অ্যালবাম দিয়ে সংগীত আকাশের ধ্রুবতারা হয়ে আছেন। এই অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে অদৃশ্য শত্রু, নাইওর, অন্যপথ সিনেমা সহ বেশ কিছু ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর পলাশ। এছাড়াও টেলিফিল্ম ছেঁড়া পাল,ধারাবাহিক নাটক সংসূত্র, ভাঙ্গা তরী ও বাসন্তি টি ষ্টল এর টাইটেল সঙ্গীতে এ কণ্ঠ দেন তিনি।