এস.এ.এম সুমন: নতুন মুখের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন ডেভিড হোসেনের ‘জ্বলন্ত প্রেম’ দিয়ে। পরে শহিদুল ইসলাম খোকনের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘গৃহযুদ্ধ’তে কাজ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে টিভিতে পা রাখেন। তার প্রথম টিভি নাটক টিপু সুলতান পরিচালিত ‘ভোরের ভোঁরবি’।
বাদল সিদ্দিকী ১৯৭৩ সালের ২৬শে আগস্ট টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত ঘাটাইল থানাধীন একাশি ভদ্রবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। সংসারে বাবা নেই মা আছে। এছাড়া তাদের পরিবারে চার ভাই ও এক বোন রয়েছে। বাদল সিদ্দিকী ২০০৬ সালে সুলতানা খানম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বাদল-সুলতানা দম্পতির ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে।
তিনি স্কুল জিবনে প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। আর সে সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা। পরবর্তীতে চক্রবাক গ্রপের সাথে জরিত হয়।
এরপর এটিএনের গোয়েন্দা কাহিনী নিউফাইলস ‘গোয়েন্দা পাবলিক’। বেলাল আহমেদের আর টিভির নাটকে শিমুল তরির ঘাটে মধু মাঝি চরিএ। ফাল্গুনি হামিদের বাংলাভিশনে ‘সোনার ফুল’। কায়সার আহমেদের এটিএনে ‘রুপালি প্রান্তর’ ও বাংলা ভিশনে ‘মহাগুরু’।
প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে মাহাবুব ইসলাম টনির ‘শশুরবাড়ি মধুর হাড়ি’। ইবনে দাউদ সাধিন ও শেখ শিহাব পরিচালিত ‘ক্যাটস আই’ নাটকে কবিরাজ চরি্ত্রে নাটকটি আগামি মাসে মাই টিভিতে প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়াও তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় কাজ করেন। এর মধ্যে কাজী হায়াত এর ‘লাভ স্টোরি’, মতিন রহমানের ‘সুখের আশায়’, কালাম কায়সারের ‘কারাগার’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘জান্নাত’, বাদল খন্দকারের ‘দুই ভাই এর যুদ্ধ’, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বদিউল আলম খোকনের আমার ‘মা আমার বেহেস্ত’, মোহম্মদ আসলামের ‘ভালোবাসা ডটকম’, সাদেক সিদ্দিকির ‘সা্হসী যোদ্ধা’, মাসুদ আজাদের ‘ভালোবাসার পৃথিবী’। এদিকে শুটিং চলছে আবুল কালামের ‘অসম প্রেম’ এবং আবুল খায়ের রফিক পরিচালিত ‘খড়া ও নারী’ সিনেমার।
বাদল সিদ্দিকী বলেন, দর্শকদের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা পেলে জীবনের শেষ মূহুর্ত পন্ত কাজ করে যেতে চাই।