দীর্ঘ  বিরতির  পর চলচ্চিত্রে  কুসুম  শিকদার

0
467

আতিকুর রাহিম: দীর্ঘ ৭ বছর পর চলচ্চিত্রে ফিরছেন কুসুম শিকদার। তার নতুন চলচ্চিত্রের নাম ‘শরতের জবা’। এই ছবির মাধ্যমে নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। ক্যামেরার সামনে যেমন অভিনয়ে আলো ছড়াবেন তেমনি ক্যামেরার পেছনেও কলকাঠি নাড়বেন। সহজ ভাষায় বললে, চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তার। শুধুই কি পরিচালনা? না, ছবিটির প্রযোজনাতেও থাকছেন তিনি।

কুসুমের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পহরডাঙ্গা পিকচার্সের প্রথম নিবেদন হতে যাচ্ছে ‘শরতের জবা’। নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে কুসুমের দাদাবাড়ি। ছবিটির শুটিং হয়েছে সেখানেই। ইউনিয়নের নামানুসারেই রাখা হয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি এটির গল্প ও চিত্রনাট্য তারই লেখা।

এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় কুসুম শিকদারের গল্পগ্রন্থ ‘অজাগতিক ছায়া’। ‘শরতের জবা’ গল্পটি সেখান থেকেই নেওয়া।

কুসুম শিকদার বলেন, ‘আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে চলচ্চিত্র তৈরি করার। অবশেষে সেটা পূরণ করতে যাচ্ছি। এজন্য আমি খুব রোমাঞ্চিত। ছবিটি মুক্তি দিতে আর কিছু দিন হয়তো লাগবে।’

কুসুমের সঙ্গে ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন সুমন ধর। এতে আরও অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, জিতু আহসান, শহিদুল আলম সাচ্চু, নরেশ ভূঁইয়া, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, অশোক ব্যাপারী, হাসনাত রিপন, জাহাঙ্গীর প্রমুখ

২০০২ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসেন কুসুম সিকদার। এরপর নিয়মিত কাজ করতে থাকেন বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকে। ‘লাল টিপ’, ‘গহীনে শব্দ’ ও ‘শঙ্খচিল’ তার অভিনীত তিনটি সিনেমা। ২০১০ সালে গহীনে শব্দ দিয়ে কুসুম শিকদারের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র লাল টিপ-এর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন, তার অভিনীত পরবর্তী চলচ্চিত্র শঙ্খচিল-এর জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

তবে লেখালেখি করবেন বলে অনেক দিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন এই অভিনেত্রী। ‘লালটিপ’ খ্যাত অভিনেত্রী কুসুম সিকদার সংস্কৃতির আরও একাধিক শাখায় বিচরণ করেছেন। প্রথম গান ‘নেশা’র জন্য কুড়িয়েছেন শ্রোতাদের প্রশংসা। প্রথম কবিতার বই ‘নীল ক্যাফের কবি’ প্রকাশ করে পেয়েছেন ‘সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার’।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here