সৈয়দ রমজান আলী:- ফাগুনের হাওয়া লেগেছে গায়ে, তা গত কয়েক দিনের প্রকৃতির চিত্রপট থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। মৃদু মৃদু বাতাস শীতের রুক্ষতা দূরে করে মনকে উদাস করে দিচ্ছিল। হালকা বৃষ্টিও হয়েছে দেশব্যাপী, যা কিনা বলে শীত ‘তাড়ানো বৃষ্টি’।বছর ঘুরে আবারো ফাল্গুনের দেখা। ষড় ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃত সিদ্ধ। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রংতুলির আঁচরে শেষ হয় না। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না।
‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’।
কিন্তু আজ ফুল ফুটেছে আর জানান দিয়েছে বসন্ত ঋতু আমাদের মাঝে হাজির। বাঙালী জাতির আরেক ঐতিহাসিক প্রাণের মেলা ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। প্রকৃতি আজ দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিয়েছে আর সে দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইছে গান। ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। আজ পহেলা ফাল্গুন। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা।
কিন্তু আজ ফুল ফুটেছে আর জানান দিয়েছে বসন্ত ঋতু আমাদের মাঝে হাজির। বাঙালী জাতির আরেক ঐতিহাসিক প্রাণের মেলা ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। প্রকৃতি আজ দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিয়েছে আর সে দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইছে গান। ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। আজ পহেলা ফাল্গুন। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা।
বসন্ত উৎসব বলি আর বরণই বলি, এটি মিশে আছে একেবারে আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে। শ্যামলী বাংলার গাছ গাছালিতে পত্রপল্লবের নতুন কুড়ি যেন গ্রামীণ মানুষের অন্তরকে আরও শুভ্র করে, করে পবিত্রও।তবে বসন্ত উৎসব আজ গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্ত বরণে দিরভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যাবে তরুণীর চুলের খোপা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসবে খাবারের মেলা।এদিন দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালির প্রাণ।