নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হিমালয়ের দেশ নেপালের ‘হিমলুং’ পর্বতশিখরে বাংলাদেশের প্রথম অভিযান উপলক্ষে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব(বিএমটিসি) এর পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাক চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং নেপালী দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জনাব ধন বাহাদুর। অতিথিদের হাত থেকে অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত ও অভিযাত্রী ইকরামুল হাসান শাকিল জাতীয় পতাকা গ্রহণ করেন।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সারা বিশ্ব থেকে ১০জন প্রতিনিধি ‘হিমলুং’ পর্বত অভিযানে অংশ নিচ্ছেন যাদের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মুহিত ও শাকিল রয়েছেন। আমি চাইব তারা দুজন সফল অভিযান শেষ করে পূনরায় আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
‘হিমলুং’ নামক ২৩,৩৮০ ফুট উঁচু পর্বতশিখর নেপালের অন্নপূর্ণা ও মানাসলু হিমালয় অঞ্চলের মাঝে নেপাল-তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত। পর্বতটি রিমোট এলাকায়, এটা এক সময় সংরক্ষিত ছিলো। এখানকার সংস্কৃতি ও প্রকৃতি একেবারে অন্যরকম যেটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। এলাকাটি ‘৯২ সালের পরে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে টিম ওয়ার্ক করে থাকি যেখানে এ অভিযানে স্পেন, পোল্যান্ড, সুইডেন ও সাউথ আফ্রিকা থেকে ৮জন অংশগ্রহণ করবে। শাকিল সম্পর্কে তিনি বলেন, যেহেতু শাকিলের প্রথম ৭,০০০ মিটারের অভিযান তার জন্য এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ পাশাপাশি আমার নিজের জন্যও। আমার দেখা মতে শাকিল টেকনিক্যালি অনেক ভালো এবং সে পর্বতারোহণ চালিয়ে যেতে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো করবে। গতকাল শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া পতাকা প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলনেতা এম.এ মুহিত।
সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হক।
‘হিমলুং’ পর্বতশিখর অভিযানটি পরিচালনা করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব এবং যৌথভাবে স্পন্সর করছে ইস্পাহানি টি লিমিটেড ও আরলা ফুডস্ বাংলাদেশ লিমিটেড।
বাংলাদেশের দুই অভিযাত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে ৩০ দিনের অভিযানে ‘হিমলুং’ শিখর আরোহণ করবে। এ অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত দুই বার এভারেস্ট আরোহণ করেছেন এবং অপর সদস্য ইকরামুল হাসান একটি ৬,০০০ মিটার পর্বত আরোহণ করেছেন।