চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে “একতারার পাঠশালা “

0
610

আজিজুল কদির (চট্টগ্রাম):

প্রকৃতি ও নির্সগের সৌন্দর্যে মানুষ মাত্রই অল্পাধিক মুগ্ধ। কবিরা অনুভূতি প্রবণ বলে তাদের উপর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রভাব প্রবল। সেই সৌন্দর্যচেতনায় রবীন্দ্রনাথ এনেছিল এক অনন্য অনুভূতি। বাংলার এক উজ্জ্বলতম জ্যোতিস্ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জীবন প্রভাত থেকে মৃত্যু মুহুর্ত অবধি তিনি নব নব রাগে বিচিত্র অনুভবে নিজেকে রচনা করে গেছেন। মানব জীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, এমন কোনো চিন্তা নেই, এমন কোন ভাব নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেন নি। তিনি বিভিন্ন আঙ্গিকে তাঁর চিন্তা ভাবনা গুলো প্রকাশ করেছেন।
বাঙালির চিন্তাজাগতিক প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে তার ছিল গভীর অনুরাগ। একান্ত নিজের চৈতন্যের মধ্যে বাঙালির মননের সন্ধান করেছেন। সেই অনুসন্ধানী দৃষ্টির মধ্যে বেশ বড় পরিসরে ধরা পড়েছে বাউলের জীবন ও সাধনা। চিত্তের চৈতন্যে বিত্তের বিভাজনে জন-জীবনের অমূল্য মহাজন রবীন্দ্রনাথ এর সৃষ্টির ভাবনা। কাল আর মহাকালের বিজন বৈরাগ্য ছুয়েছিল তাঁর অন্তর।


রবীন্দ্রনাথের বাউলিয়ানা রচনা, নাচ, গান ও আবৃত্তি নিয়ে নরেন আবৃত্তি একাডেমির পরিবেশনা আলেখ্য অনুষ্ঠান “একতারার পাঠশালা” শিরোনামে ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নরেন আবৃত্তি একাডেমির উপদেষ্টা ফারজানা মুনমুন সংগঠন ও “একতারার পাঠশালা” অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়েই শুরু হয় মূল পর্ব। গতানুগতিক আবৃত্তি ধারা থেকে একটি ভিন্ন আঙ্গিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাউলিয়ানা পরিচয় তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা। কথা ও কবিতা আবৃত্তির মাঝে ছিল নাচ ও গান। শিল্পীরা এক্ষেত্রেও ভিন্নতা রাখতে সক্ষম হয়েছেন; গান ও নাচকে বাউল আঙ্গিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে পরিপূর্ণ ভাবে রবি বাউলকে পরিচয় করিয়ে দেন দর্শকের মাঝে। কথা, কবিতা, গান, নাচ; সবক্ষেত্রেই ছিল রবীন্দ্রনাথ এর বাউলিয়ানার ছাপ।


শিমলা দাশ গুপ্তার গ্রন্থনায় এই অনুষ্ঠানে একক পরিবেশন করেন নরেন আবৃত্তি একাডেমির সদস্য সৈয়দ হোসেন বাবু,হ্যাপী চৌধুরী, সজীব দত্ত, মারওয়া আনজুমানে জান্নাত, জান্নাতুল মাওয়া, ইসমাইল সোহান, জয়া প্রযুক্তা, আনিকা ফেরদৌস, , সুহাইলা আফরোজ,অহনা বিশ্বাস। নৃত্যে ছিলেন জয়া প্রযুক্তা, জারিন ও সুহাইল আফরোজ। আর গান পরিবেশন করেন অজয় চক্রবর্তী, আসমা উলফাত এশা, আনিকা ফেরদৌস ও পার্থ সেন।এ ছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিকার সমুদ্র টিটু, মনজুর মুন্না, সেলিম রেজা সাগর, প্রিয়ম কৃষ্ণ দে।


অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় ছিলেন হ্যাপী চৌধুরী, আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনায় ইসমাইল সোহান, আলোক পরিকল্পনায় আজমল নবীন, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় প্রসেনজিৎ বড়ুয়া, সার্বিক তত্ত্বাবধানে আলাউদ্দিন ফরহাদ।