মডেলিং পেশা আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম

0
140

বিনোদন প্রতিবেদক: যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তি, সবই চলে আসতে পারে তোমার হাতের মুঠোয়, যদি মডেলিংকে পেশা হিসেবে বেছে নাও। যদি তোমার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে এক্স ফ্যাক্টর থাকে বা সোজা কথায় দেখতে, শুনতে, চলনবলন বা ঠাঁট-ঠমকে যদি তোমার জুড়ি মেলা ভার হয়ে থাকে, তবে এই পেশা তোমার জন্য একেবারে আদর্শ। এক বলিউড ছাড়া এইরকম আকাশছোঁয়া খ্যাতি এবং লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা এদেশে খুব কম পেশাতেই রয়েছে।

তবে এই পেশাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগিতা প্রবল। তার প্রধান কারণ যে গ্ল্যামার জগতে সুযোগ পাওয়ার স্বপ্ন দেখার পাবলিকের অভাব না থাকলেও, ভাল কাজের সুযোগ সে তুলনায় যথেষ্ট কম রয়েছে! তাই রূপ এবং প্রতিভা, এই দুটোয় উতরে গেলেও সাফল্যের জন্য ধৈর্য এবং অধ্যবসায়, এই দুয়ের চর্চা করতেই হবে।

এই পেশার যেমন কিছু সুবিধে রয়েছে (আগেই বলা হয়েছে যে আর পাঁচটা পেশার তুলনায় এই পেশায় অপেক্ষাকৃতভাবে বেশ তাড়াতাড়িই নাম এবং পয়সা কামানোর সুযোগ রয়েছে), তেমনই রয়েছে বেশ কিছু খামতিও। যেমন এই পেশার অনিশ্চয়তা শেয়ার মার্কেটকেও হার মানায়। কতটা তুমি উন্নতি করতে পারবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে তোমার ভাগ্যের উপর। তার উপর অন্যান্য পেশার মতো এই পেশায় ঢোকার নির্দিষ্ট কোনও ক্রাইটেরিয়া না থাকায়, তুমি কতটা উন্নতি করতে পারবে তার অনেকটাই নির্ভর করবে তোমার নেটওয়ার্কিং ক্ষমতার উপর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তেমন চেনা-পরিচিতি না-থাকলে, এই পেশায় উন্নতি করা কঠিন। তা ছাড়াও, এই পেশায় ভাল সুযোগ পাওয়ার আশায়, অগুনতি ছেলেমেয়ে প্রতারণার শিকার হয়। কাজে উন্নতি করার চেষ্টার সঙ্গে-সঙ্গে নিজেকে বাঁচিয়েও চলতে হবে। সব শেষে, এই পেশায় শেল্ফ লাইফ কম। অন্যান্য পেশায় দিব্যি পায়ের উপর পা তুলে ষাট বছর অবধি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই পেশায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বই কী! এই প্রফেশনে তুমি ততদিনই থাকতে পারবে, যত দিন তোমার রূপ-যৌবন রয়েছে (কিংবা যদি তুমি অমিতাভ বচ্চনের মতো চিরযুবা হয়ে থাকো)! এবার চলো জেনে নিই মডেলিং সম্পর্কে আরও কিছু খুঁটিনাটির কথা।

কাজের সুযোগ:
মূলত দুই প্রকারের কাজে ব্যবহার করা হয় মডেলদের—

র‌্যাম্প: প্রায় সমস্ত মডেলদের ‘ড্রিম জব’ এটি। তাবড়-তাবড় ফ্যাশন ডিজাইনারদের ফ্যাশন শোয়ে র‌্যাম্পে হাঁটা অনেক মডেলের কাছে স্বপ্ন। কিন্তু সুপারমডেল আখ্যা অর্জন না-করলে র‌্যাম্পে হাঁটার সুযোগ পাওয়া মুশকিল! এই ফ্যাশন শোয়ে মডেলরা মূলত ফ্যাশন ডিজ়াইনারের ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি হয়।

বিজ্ঞাপন: মডেলদের জন্য আর-একটি জনপ্রিয় কাজের ক্ষেত্র হল বিজ্ঞাপন। বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট লঞ্চ করবার জন্য, নানা ধরনের পত্রপত্রিকার জন্য মডেলদের ব্যবহার করা হয়। খুব উঁচুদরের মডেল বা সুপারমডেল হলে নামীদামি ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠতে পারবে তুমি। এর জন্য অবশ্য ভাল চেহারা ছাড়াও অল্পস্বল্প অভিনয় ক্ষমতা থাকা জরুরি। বিজ্ঞাপনে, বিশেষত টিভি বিজ্ঞাপনে তুমি যত দক্ষতার সঙ্গে নানা অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে পারবে, ততই বিজ্ঞাপনটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। পরবর্তীকালে যদি অভিনয় জগতে পা রাখার ইচ্ছা থাকে, তা হলে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করাটা একটা মূল্যবান অভিজ্ঞতা হবে। তা ছাড়াও, বিজ্ঞাপনে যদি নিজের ক্যারিশমা দেখাতে পার, তা হলে টিনসেল টাউনের কোনও প্রযোজক বা পরিচালকের চোখে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি!

এছাড়াও বড় পর্দা বা ছোট পর্দায় অভিনয় করবার সুযোগ, টক শো হোস্ট করবার কাজেরও সুযোগ করে দিতে পারে মডেলিং।

মডেল: মুনিয়া রুবা

মডেলিং কত প্রকার এবং কি কি ?
বাণিজ্যিক চাহিদার উপর ভিত্তি করে পেশাদার মডেলদের ধরনও আলাদা হয়। বিভিন্ন চেহারা, আকার, আকৃতি, বয়স ইত্যাদিরও একটা সম্পর্ক থাকে ধরনগুলোর সাথে। এক একটি ধরন এক এক ভাবে তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। নিচে বিভিন্ন মডেলিং-এর বিভিন্ন ধরন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

হাই ফ্যাশন মডেলিং:
এ ধরনের মডেলিং সাধারণত ফ্যাশন শো আর ফ্যাশন প্রচারণায় প্রয়োজন হয়। বড় বড় ফ্যাশন হাউজ তাদের নতুন পোশাকের প্রদর্শন-এর জন্য ফ্যাশন শো-তে বা অন্যান্য মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণার জন্য হাইফ্যাশন মডেলদের ব্যবহার করে। আর এই কাজেরসম্মানীও বেশ চড়া।
এডিটোরিয়াল মডেলিং:
এডিটোরিয়াল মডেল বিশেষ কোন প্রকাশনা বা ফ্যাশন, স্বাস্থ্য,লাইফস্টাইল বিষয়ক ম্যাগাজিনগুলোর জন্য কাজ করে। এই ধরনের মডেলিং-এ ফ্যাশন ডিজাইনার ও এডিটরগণ মডেলদের ফটো আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করে। এই কাজগুলো মডেলদের সুখ্যাতি আর পোর্টফলিও ভারি করে।
ক্যাটালগ মডেলিং:
নির্দিষ্ট কোন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পোশাকের/পণ্যের মডেলিং করাটাই ক্যাটালগ মডেলিং। এতে অনেক বেশি প্রতিযোগীতার মাধ্যমে মডেলকে সুযোগ পেতে হয়। কারণ, এর প্রসার অনেক বেশি আর মডেল-এর নাম, যশ, খ্যাতিও হয় অনেক। তবে অনেক ছোট কোম্পানি তাদের ছোট্ট মার্কেটের জন্যও ক্যাটলগ মডেলদের নিয়োগ করে।
রানওয়ে মডেলিং:
এই ধরনের মডেল রানওয়েতে ক্যাটওয়াক করেন কোন ডিজাইনার বা স্টোরের কাপড় পরে। এই্যফাশন শো ঘরে বা বাইরে যেকোনো জায়গায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। নতুন মডেলদের জন্য কাজ শেখা ও নিজেকে তুল ধরার এটা একটা দারুণ উপায়।
সুইমস্যুট মডেলিং:
এই ধরনের মডেলদের অসাধারণ দেহ গড়ন হয়। হাই ফ্যাশন আর এডিটোরিয়াল মডেলরা এই ধরনের মডেলিং করেন। আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক ডিজাইনারই তাদের কালেকশনে বা ফ্যাশন শো-তে সুইমস্যুট রাখেন। অনেক ম্যাগাজিনও প্রচুর সুইমস্যুট মডেলদের উপস্থাপন করে।
লঞ্জারি মডেলিং:
লঞ্জারি মডেল অবশ্যই দেখতে আবেদনময়ী হবে। হাইফ্যাশন আর এডিটোরিয়াল মডেলও এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। সাধারণত অন্তর্বাস প্রস্তুতকারক ফ্যাশনহাউজ-ই এইধরনের মডেলদের দিয়ে তাদের কালেকশনের প্রদর্শনী, ফটো শুট ইত্যাদি করে থাকে।
গ্ল্যামার মডেলিং:
গ্ল্যামার মডেলিং-এ সাধারণত মডেলকে যৌন আবেদনময়ী হিসাবে উপস্থাপন করা হয়- শরীরকে পোষাকে আবৃত রেখে বা সম্পূর্ণ নগ্ন করে। তবে এটা পর্নোগ্রাফী নয়। বিশেষ ম্যুড বা পরিস্থিতিকে বোঝানোর জন্য এই মডেলিং-এর প্রয়োজন পড়ে। এধরনের মডেলিং-এর সফলতায় চাই শরীরের সঠিক গঠন ও আকৃতি। ফলে, এমনও হয় যে, গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে মডেলরা সফলতার জন্য তাদের স্তন পর্যন্ত ইমপ্লান্ট করে।
প্রিন্ট মডেলিং:
প্রিন্ট মডেলরা প্রচুর বিস্তৃতি লাভ করে। এরা সাধারণত সব ধরনের প্রিন্টিং মাধ্যমের জন্য কাজ করে, যেমন- বিলবোর্ড, সব ধরনের প্রিন্ট মিডিয়া এ্যাড ইত্যাদি।
প্রমোশনাল মডেলিং/ট্রেড শো মডেলিং:
এই ধরনের মডেলদের কাজের স্থান হলো বিভিন্ন সমাবর্তন/সভা বা সম্মেলন এবং বাণিজ্য মেলা। অতিথিদের অভ্যর্থনা বা কোন স্টলে দাঁড়িয়ে আগন্তুকদের সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবার বিষয়ে অবগত করানো এবং তা ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা। আমাদের এখানে সাধারণত এদের ব্র্যান্ড প্রোমোটার বা বিপি বলে।
প্লাস সাইজ মডেলিং:
সবাই আপনাকে মোটা বললেও কোন দুঃখ নেবেন না। কারণ, মোটা বা প্লাস সাইজ মডেলদের একটা বড় চাহিদা বিশ্বব্যাপী আছে। প্লাস সাইজ মডেলরা সমাজেরএকটা বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সাধারণত ১এক্সএল সাইজের উপরে যেকোনো মডেলকে প্লাস সাইজ মডেল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্লাজ সাইজ পোশাকের ফ্যাশন, ক্যাটালগ বা রানওয়ে মডেল হিসাবে এদের প্রচুর কাজ রয়েছে।
ক্যারেক্টার মডেলিং/রিয়েল পিপল মডেলিং/কমার্শিয়াল মডেলিং:
এই ধরনের মডেলিং-এর নির্দিষ্ট কোন প্রকার সংজ্ঞা হয় না। এখানে প্রয়োজনীয় চরিত্রটিই মুখ্য। বিশেষতঃ টিভি বিজ্ঞাপনের কথাই যদি ধরি তাহলে বিজ্ঞাপন ভিডিওটির চরিত্রের প্রয়োজনে গ্রাম্য বা শহুরে, কালো বা ফর্সা, লম্বা বা খাটো যা-ই হোক না কেন চরিত্রটি হতে হবে যথার্থ। এই চরিত্রটি/গুলোর মডেলরা বাণিজ্যিক প্রচারণার স্বার্থে প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচুর কাজ করে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজন ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী অন্যান্য মডেলিং-এর চাহিদাও আছে। যেমন খাটো মানুষদের ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইলের জন্য পেটিট মডেলিং, শিশুদের ফোকাস করে চাইল্ড মডেলিং, টিন এজারদের ফোকাস করে টিন মডেলিং, শরীরের বিশেষ অঙ্গে পোশাক বা এক্সেসরিজ ফোকাস করে বডি পার্ট মডেলিং, বয়স্কদের ফোকাস করে ম্যাচিওর মডেলিং ইত্যাদি ধরনের মডেলরাও ব্যাপক পেশাদারী কাজ করেন। তাই যারা মডেল হিসাবে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদেরকে নিজেদের জন্য মানানসই ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ধরন বেছে নিয়ে বা বিশেষজ্ঞ’র পরামর্শ নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন।

বেতন ও অন্যান্য সুবিধা:
সাধারণত যে-কোনও সৃজনশীল পেশার মতোই, এই পেশাতেও কোনও বাঁধাধরা বেতন নেই। তোমার উপার্জন ক্ষমতা বা বাজারদর নির্ভর করবে, মডেল হিসেবে তুমি কতটা সফল। একবার সুপারমডেল পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সাধারণত আকাশছোঁয়া দর হাঁকতে পারবে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাছে সুপারমডেলদের সম্পদ হিসেবেই গণ্য করা হয়। সাধারণত ছোট এবং মাঝারি মাপের মডেলের দক্ষিণা প্রতিটি সিটিং বা অ্যাসাইনমেন্টের জন্য মোটামুটি দশ হাজার থেকে দু’লাখ পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে। সুপারমডেল হলে অবশ্য পোয়াবারো! সেক্ষেত্রে তোমার বাজারদর হতে পারে আকাশছোঁয়া! বড়-বড় সুপারমডেল যেমন ক্যারল গ্রেসিয়াস, ভূমিকা আরোরা-রা কিন্তু দক্ষিণার দিক থেকে বলিউডের তাবড়-তাবড় সেলেবদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেন! কিন্তু আগেই বলা হয়েছে যে এই পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য প্রতিভা এবং অধ্যবসায় ছাড়াও চাই কপালের জোর!

কী করণীয় ?
সঠিক এজেন্সি নির্বাচন: আগেই বলা হয়েছে যে এই পেশায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। সুতরাং নিজের মঙ্গলের জন্য গোড়া থেকে নামজাদা কোনও মডেলিং এজেন্সির সঙ্গে কাজ করাই ভাল। মডেলিং এজেন্সির সঙ্গে কাজ করার অনেকগুলো সুবিধে রয়েছে। প্রথমত, জনপ্রিয় কোনও এজেন্সির সংস্পর্শে এলে ভাল কাজ করার সুযোগও বাড়বে। তা ছাড়া তুমি যাতে কোনওরকম অন্যায় বা প্রতারণার শিকার হয়ে না পড়ো এবং প্রাপ্য দক্ষিণা থেকে বঞ্চিত না হও, সেদিকেও খেয়াল রাখবে এই সমস্ত এজেন্সি।
একটি আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও তৈরি করা: মডেলিং জগতে ফ্রেশার হিসেবে পোর্টফোলিও হচ্ছে তোমার পরিচয়পত্র। তুমি কতটা ফোটোজেনিক, তোমার মধ্যে এক্স ফ্যাক্টর রয়েছে কি না, তা তোমার পোর্টফোলিওই বলে দেবে। এর জন্য অবশ্য দক্ষ এবং নামজাদা কোনও ফোটোগ্রাফারকে পাকড়াও করতে পারলে তোমার পোয়াবারো।

কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই লাগবে প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফার দিয়ে তোলা ছবি। যত বেশি ফটো তোলাবেন, আপনার পোর্ট ফলিও তত বেশি গুরুত্ব পাবে। আর কাজ পাবার জন্য এটা অবশ্য করণীয়। ফটোগ্রাফার ও কোরিওগ্রাফারগণ বিভিন্ন এক্সপ্রেশন ও পোজ নিয়ে কাজ করেন বলে যত বেশি ফটো তোলা যায় তত বেশি শেখাও যায়। বাংলাদেশের খ্যাতনামা ফটোগ্রাফারদের মধ্যে আকাশ আমিন অন্যতম। দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই ফটোগ্রাফার-এর হাত ধরে অনেকেই আজ মিডিয়া কাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

কিভাবে কাজ পাবেন?
আপনি প্রথমে ম্যাগাজিন/পত্রিকায় এডিটোরিয়াল ফিচারগুলোর ফটোশ্যুটে অংশ নিন। এরা আপনাকে প্রচুর প্রচারণা দেবে। এছাড়া ফ্যাশন ফটোশ্যুটগুলো করেও নিজের প্রোফাইল ভারী করা যায়। এভাবে পারিশ্রমিক ছাড়া হলেও কাজ করতে হয় প্রচুর। ফলে নিজেকে তৈরি ও প্রমাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ, ফটোগ্রাফার, নাটক ও সিনেমা পরিচালক, বিজ্ঞাপন নির্মাতা বা এজেন্সি’র সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় প্রচুর। মনে রাখতে হবে এখানে যত বেশি সংযোগ কাজের সুযোগও তত বেশি।তবে নিজেকে তৈরিকরতে হবে সবসময়। মিডিয়াতে একটা কথা আছে- টাকার পিছনে ছুটো না,টাকা তোমার পিছনে ছুটবে। অর্থাৎ টাকা কি পাবে না পাবে,কাজ করে যাও,কাজই তোমাকে টাকা এনে দেবে।

মডেলিং কোর্স-এর উপকারিতা:
যারা মডেলিং-এ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এছাড়া আধুনিক হাল ফ্যাশন-এর সাথে নিজেকে উপস্থাপন করা, কথা বার্তায় ও চাল-চলনে স্মার্ট হওয়ার জন্যও এই কোর্সটি কার্যকর। সর্বোপরি ব্যক্তিত্বের বিকাশ, আচরণ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে প্রকাশ করাও এই কোর্সটির উদ্দেশ্য। এইসব গুণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী, অনুষ্ঠানে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন ইত্যাদিতে সহায়তা করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here