নিজস্ব প্রতিবেদক: মোশারফ করিম ২২ আগস্ট, ১৯৭২ তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অভিনয় জগতের এক জনপ্রিয় মুখ। তিনি সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে সমান পরিচিত তার অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা, উচ্চারন দক্ষতার জন্য। তিনি অনেক পুরষ্কার বিজেতা। তাকে প্রায়শই ধারাবাহিক ও মেগাধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায়। পরে তিনি বাংলা সিনেমায়ও অভিনয় করেন। তিনি বিখ্যাত ছবি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এ অভিনয় করেন। বর্তমানে তিনি বিখ্যাত পরিচালক মাসুদ সেজানের চলিতেসে সার্কাস ও সাগর জাহানের রাস্কেল -এ অভিনয় করছেন। এছাড়াও তিনি জিম্মি, দুই রূস্তম, অন্তনগর, ফ্লেক্সিলোড, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, আউট অফ নেটওয়ার্ক, সাদা গোলাপ, ৪২০, জুয়া, সুখের অসুখ, সিরিয়াস কথার পরের কথা, সন্ধান চাই, ঠুয়া, লস, সিটি লাইফ, বিহাইন্ড দ্যা সিন তাই কিছু বিখ্যাত নাটক ও টেলিফিল্ম জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। খুবই সাধারণ ও সহজ-সরল একজন মানুষ। পথ চলতে যে কিছুটা হলেও বুদ্ধির প্রয়োজন সেটা তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নেই বললেই চলে। সরলতার কারণে অনেক বাধাবিপত্তির মুখেও পড়তে হয় তাকে । অবশ্য এমন সাদামাটা জীবনযাপন করেন তিনি।
প্রথম জীবন:
যদিও তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন, তার বাড়ি বরিশাল-এ। ডেইলি স্টার-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে তার অভিনয়ে দক্ষতা জন্ম নেয় তার স্কুল থিয়েটারে। ১৯৮৬ সালে তার অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা অন্য মাত্রা নেয় ও তিনি নাট্যকেন্দ্র-এ যোগদান করেন। তিনি এখনও এই নাট্যদলের সদস্য। মোশারফ করিম কর্মের সন্ধানে যুবক বয়সেই ঢাকায় চলে আসেন! দুইটা টিউশনি করে জীবন চালিয়েছেন! এরপর ২০০৭-০৮ সালে প্রয়াত পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন তার “দার“চিনি দ্বীপ” ছবির চরিত্রের জন্য এমন একজনকে খুঁজছিলেন যার টিউশনি করার অভিঙ্গতা আছে! মোশাররফ করিম সে চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সুযোগ পেয়ে যান! তারপর থেকে মোশারফ ভাইকে আর পেছন ফিরে তাকতে হয়নি! দারুচিনি দ্বীপে টিউটর হিসেবে দারুন অভিনয়ের পরই কেরাম নামের নাটকে অভিনয় করে ব্যপক জনপ্রিয়তা পায়! তার অভিনয় প্রতিভা এতই বেশি যে তাকে নির্দিষ্ট কোন চরিত্র হিসেবে বেধে রাখা যায়নি। সব ধরনের চরিত্রই সমান ভাবে ফুটিয়ে তোলে! আজ সেই মোশারফ করিম ভাইয়ের সিডিউল পেতে পরিচালকদের ছয় মাস আগেই বলে রাখতে হয়! তার অভিনীত কোন নাটক প্রিয় এমন প্রশ্ন কাউকে করলে উত্তর পাওয়া যায়না! সবাই বলে কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি।
অভিনয় জীবন:
তিনি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা বাংলাদেশের অভিনয় জগতে এক আলাদা স্থান করে দিয়েছে। তিনি ১৯৯৯ সালে এক পর্বের নাটক অতিথি-এ অভিনয় করেন। এই নাটকটি ফেরদৌস হাসান পরিচালনা করেন এবং এটি চ্যানেল আই-এ সম্প্রচারিত হয়। যদিও প্রথম জীবন তার জন্য কষ্টের ছিল, তার সত্যিকার পথচলা শুরু হয় ২০০৪ সাল হতে। ২০০৪ সালে তিনি দুটি নাটকে অভিনয় করেন, যা অভিনয় জগতে তাকে এক অধ্যাবসায়ী চরিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তিনি বিখ্যাত টেলিফিল্ম ক্যারাম-এ তিশার বিপরীতে অভিনয় করেন। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করা শুর“ করেন। ২০০৯ সালে তিনি বিখ্যাত পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবিতে তিশার বিপরীতে অভিনয় করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন মেগা-ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেন। তিনি তার প্রথম মেগা-ধারাবাহিক ৪২০-এ অভিনয় করেন। এ ধারাভিক থেকেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বিখ্যাত হন। এই নাটকটি চ্যানেল আই-এ প্রচারিত হয়। এরপর তিনি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ভবের হাট, ঘর-কুটুম-এ অভিনয় করেন। তিনি কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তিনি দারুচিনি দ্বীপ ছবিতে অভিনয় করেন। এই ছবি হুমায়ুন আহমেদ-এর কাহিনীর ভিত্তি করে ও তৌকির আহমেদ-কতৃক পরিচালিত হয়। তিনি কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রজাপতি ছবিতে অভিনয় করে। তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিভিশন ছবিতে অভিনয় করেছেন।
বিয়ে ও সংসার:
রোবেনা রেজা জুঁই নামটি অনেকের কাছেই অপরিচিত মনে হবে। আর যদি বলা হয় উনি মোশাররফ করিম এর স্ত্রী তাহলে অনেকেই তাকে চিনবেন। মোশাররফ করিমের পাশাপাশি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৪ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা মোশাররফ করিমকে। তার আগে দীর্ঘ ৪ বছর তাদের মধ্যে ছিল মধুর ভালোবাসার স¤পর্ক। মোশাররফ করিম এর সাথে জুই এর প্রথম পরিচয় হয় ২০০০ সালে। সে সময় মোশাররফ করিম জুইদের বাসার সামনের গলির একটি কোচিং সেন্টারে পড়াতো। এখনকার মোশাররফ করিম সে সময় তার ডাক নাম শামীম নামে পরিচিত ছিল। সেই কোচিং সেন্টারেই কোচিং করতেন জুই। সেখান থেকেই দুজনের প্রাথমিক পরিচয়। এস.এস.সি. এবং এইচ.এস.সি. এই দুটো মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোশাররফ করিম ছিলেন জুইয়ের শিক্ষক। এরপর এইচ.এস.সি. পরীক্ষার পর ফলাফল প্রকাশের আগের সময়টুকু জুইও সেই কোচিং সেন্টারে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এবার তারা সহকর্মী। ছাত্রী থাকাকালীন সময়েই মোশাররফ করিম জুইয়ের প্রেমে হাবু-ডুবু খাচ্ছি ছলেন কিন্তু তা প্রকাশ করেন নি। তার ইচ্ছা ছিল জুই ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর তার মনের কথা বলবেন। কিন্তু শেষমেষ তা আর হয়নি। জুই ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার আগেই মোশাররফ করিম তার মনের কথা জুইকে বলেন। কিন্তু জুই ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেননি মোশাররফ করিম তাকে কোন ভালোলাগার কথা বলেছেন। বহু কষ্টে মোশাররফ করিম তার ভালোবাসার কথা বোঝাতে সক্ষম হন জুইকে। কিন্তু প্রথমদিকে জুই মোশাররফ করিমের সেই ভালোবাসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও মনে মনে কষ্ট পেতে শুরু করেন জুই। মোশাররফ করিমও ভালোবাসায় প্রত্যাখ্যাত হয়ে সেদিন সারারাত রাস্তায় হেঁটেছেন আর কান্না করেছেন। অবশেষে কয়েকদিন পর জুঁইয়ের মুখ থেকে হ্যা সূচক সম্মতি বের হয়। আর এভাবেই শুরু হয় মোশাররফ মোশাররফ করিমের গ্রামের বাড়ি বরিশাল। এটাই সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মোশাররফ-জুইয়ের ভালোবাসায়। জুইয়ের বাবা-মা প্রথমদিকে মোশাররফ করিম এর সাথে তাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। অবশেষে তাদের দুজনের চেষ্টায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েকরে সুখের সংসার শুরু করেন তারা। বিয়ের পর জীবনের গতি পরিবর্তন করেন মোশাররফ করিম। শিক্ষকতা ছেড়ে অভিনয়ের দিকে পুরোপুরি ঝুঁকে পড়েন। সে সময়ের মোশাররফ করিম আর বর্তমানের মোশাররফ করিমের মধ্যে অনেক পার্থক্য ছিল। ফলে কিছুটা কষ্ট তাদের দুজনকে করতে হয়েছে। বিয়ের পর প্রায় দেড় বছর অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়েই গিয়েছে তাদের দিনগুলো। একসময় তাদের সংসারে সুখের বাতাস বইতে শুরু করে এবং দুজন মিলে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে তাদের ছোট্ট সংসারটি। জুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃ-বিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করার পর তার কোল জুড়ে আসে তাদের একমাত্র সন্তান রায়ান। পুরো নাম রোবেন রায়ান করিম। বনশ্রীতে নিজেদের একটি সন্তান, শ্বাশুড়ি, ভাইয়ের দুটি মেয়ে,বোনের ছেলে, দেবর আর দেবরের বউকে নিয়ে বসবাস এই দম্পতির।
চলচ্চিত্র সমূহ
২০০৭ দারুচিনি দ্বীপ, পরিচালক ॥ তৌকির আহমেদ
২০০৯ থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার , পরিচালক ॥ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
২০১২ প্রজাপতি, পরিচালক ॥ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
২০১৩ টেলিভিশন , পরিচালক ॥ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
২০১৬ জালালের গল্প , পরিচালক ॥ আবু শাহেদ ইমন
এক-পর্বের নাটক (৩০০+)
জনপ্রিয় নাটক সূমহ তার মধ্যে
অতিথি ,দুই রুস্তম, ফ্লেক্সিলোড, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, আউট অফ নেটওয়ার্ক, আউট অফ রুলস, সাদা গোলাপ, জুয়া, সুখের অসুখ ,সিরিয়াস কথার পরের কথা, সন্ধান চাই. ঠুয়া, লস.ঝাল মুড়ি. সিটি লাইফ, বিহাইন্ড দ্যা সিন, ক্যারাম প্রথম পত্র, ক্যারাম দ্বিতীয় পত্র,হাতেম আলী, হীরার নেকলেস ,জর্দা জামাল , আবুল কবিরাজ , লেছ ফিতা,অফ দা রেকর্ড, সাদা গোলাপ, আজকের দেবদাস, আমি হিমু হতে চাই, বিভ্রম ভালবাসার গল্প, ছাইয়া ছাইয়া, হাতা বাবা রিটার্ন, হ্যালো, ল্যাইছ ফিতা (বিটিভি’তে সম্প্রচারিত), লস প্রজেক্ট,নাটক শেষ ভালবাসা শুর“, নৈশভোজ, পিক পকেট, পল্টিবাজ, ঠগবাজ, ঠুয়া, ভায়োলিন, বারাবারি, চা অথবা কফি, মানিব্যাগ, ভেজাল, যমজ ১,২,৩, প্রিয় পারভিন, কবি বলেছেন, মোবাইল কোর্ট, জিম্মি, ঢাকা মেট্রো ভ, ফাউল, খেলা ,সপ্নে দেখা রাজকন্যা, তালা,উচ্চ মাধ্যমিক সমাধান, ভালবাসা উল্টা পাল্টা, ডাক্তার জামাই, বউয়ের জ্বালা, মানি ইজ নো প্রবলেম, জুতা বাবা, পসারি, না ভোট, মুদ্রাদোষ, কপালের নাম গোপাল, সত্য বালক, শোয়া বাবা, সিকান্দার বক্স এখন অনেক বড়, সিকান্দার বক্স এখন বিরাট মডেল, সিকান্দার বক্স এখন কক্সবাজারে, সিকান্দার বক্স এখন পাগল প্রায় (২০১৪), সিকান্দার বক্স এর হাওয়াই গাড়ী, সিকান্দার বক্স এখন বান্দরবনে, সিমিলার টু, কঠিন প্রেম, ভালবাসার গল্প ফুল, ভালোবাসার উল্টোপিঠ, ভালবাসার এবেলা ওবেলা, চন্দ্র বিন্দু, গর“ চোর, চোর ও নভেলিস্ট, শুধু একটু বিরহের জন্য, প্রথম প্রেম, পাইরেসি, গুগল ডট কম, কথা দিলেম তো, স্বপ্নজাল, সুপাত্রের সন্ধানে, কাউন্টার মাস্টার, চুপ! ভাই কিছু বলবে, ফাঁদ ও বগার গল্প, নেগেটিভ পজিটিভ, মিথ্যুক, ফ্লাইওভার, মানিকজোড়, ডানা ভাঙ্গা স্বপ্ন, দ্যা নিউ হাতেম আলী, দেবদাস, সেই রকম চা খোর, বন্ধু আমরা তিনজন, বউ চোর, সরল গল্প, সিন্দুক, চেরাগ, ভেজাল মন্ডল, চোরের ভবিষ্যৎ, প্রেমের জন্য পাগল, আমি মফিজ, সিরিয়াস একটা কথা আছে, লাভ ইন বরিশাল, চিটার, পিরিত, তালা পরা তালা বাবা, হাওাই মিঠাই, চোরের মন পুলিশ পুলিশ, পারফিউম, পকেট মার, সেই রকম ঝালখোর, বিহাইন্ড দ্যা র্ট্যাপ, টাপুর টুপুর অপেরা, আব্বা ডোন্টমাইন্ড, প্রেম পাগল, সোনার ডিম, ঘুম বাবু, সুখ টান, নিজঃস্ব স¤পত্তি, কাজের বুয়া, পাত্র চাই, ভন্ড প্রেমিক, সেলফি, জগতি, হরতাল, সাধারণ জ্ঞান, সুপারম্যান, যমজ ২, ডেঞ্জার ম্যান, সেই রকম পানখোর, ঠাডা, চান্স মাষ্টার, হিফাজ, দ নয় ধ, আমি স্পেসাল মানুষ, প্রায় রকস্টার,ভয়ঙ্কর অভিনেতা, হিরার নেকলেস, টু লেট, আমি মফিজ হতে চাই, নিয়মের বাইওে, মাফ করবেন প্লিজ, অর্থবহ চিরকুট, কনফেসন, মমিন মৃধা বাড়ী নেই, ০ শূন্য, বউ এর জ্বালা, রাস্কেল, অসমাপ্ত প্রেমের গল্প, মেহমান, হাবিলদার হাতেম, মনুষ্যত্ব, বাটপার
ধারাবাহিক নাটক (৫০) তার মধ্যে
এফ এন এফ ( ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি),এফ ডি সি, হাউস ফুল, পরশি বাড়ি, মাইক, মফিজ কট, জামায় মেলা, সাকিন সারি সুরি , সিকান্দার বক্স (সিরিজ নাটক), রেডিও চকলেট, লং মার্চ,হাড় কিপটে, আনন্দগ্রাম,
পুরষ্কার
মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কারঃ
সমালোচক পুরষ্কার প্রাপ্তিঃ ২০০৮ সাল–দেয়াল আলমারি ,২০১২ সাল–জর্দ্দা জামাল ২০১৩ সাল–সেই রকম চা খোর ।
তারকাজরিপ পুরষ্কার প্রাপ্তিঃ
২০০৯ সাল–হাউজফুল ,২০১১ সাল– চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই ।
২০১৩ সাল–সিকান্দার বক্স এখন বিরাট মডেল ,২০১৪ সাল–সেই রকম পানখোর ।
উপস্থাপনা করেছেনঃ
২০০৯–সঙ্গে ছিলঃ চঞ্চল চৌধুরি , ২০১১–সঙ্গে ছিলঃ তিশা ও চঞ্চল চৌধুরি , ২০১২–সঙ্গে ছিলঃ মুনমুন ও চঞ্চল চৌধুরি , ২০১৪–সঙ্গে ছিলঃ তিশা ও সাজু খাদেম , ২০১৫–সঙ্গে ছিলঃ তিশা।