আজিজুল কদির, (চট্টগ্রাম)
উড়িষ্যা রাজ্যের মন্দিরগাত্র থেকে জন্ম ওড়িশি ভঙ্গিমার। এর নৃত্যশিল্পীরা মনে করেন, ওড়িশি নৃত্যধারায় দর্শককে খুশি করা ঈশ্বরকে তুষ্ট করার মতো! বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া একদল নৃত্যশিল্পীরা এমনই এক নিবেদন ছিল ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ‘ওড়িশী উৎসব–২০২৩’ এর আসরে। নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশের একমাত্র ওড়িশী নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রাম’ এর পরিচালক ও জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের। তাদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়েছে উড়িষ্যা!
মঞ্চ আলো করে শিল্পীরা আসে ‘সাবেরী পল্লবী’ নিয়ে।
এতে বসন্ত এবং শৃঙ্গার রসকে উপস্থাপন করে নৃত্যশিল্পীরা জটিল ছন্দময় গতিবিধির সংমিশ্রণে। নৃত্য নির্মাণ করেছেন গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র। অনুষ্ঠিত নৃত্যের পরিচালনা করেছেন প্রমা অবন্তী। সমপ্রতি উড়িষ্যায় ভুবেনেশ্বরে গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র রিসার্চ ইন্সটিটিউটে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রায় ১০০ শিল্পী ও দল এই উৎসবে যোগদান করে চট্টগ্রামের ওটিডিএমসির নৃত্যশিল্পীরা। অনুষ্ঠানের পরিচালক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক শ্যামাহারী চক্র আমন্ত্রণে ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টারে চট্টগ্রামের দলটি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।
নৃত্য পরিবেশন করেন প্রমা অবন্তী, নিবিড় দাশ গুপ্তা, তূষি ভট্টাচার্য, ময়ূখ সরকার, মৈত্রী চক্রবর্তী, দিয়া দাশ গুপ্তা ও অর্জিতা সেন চৌধুরী। এছাড়াও ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার থেকে ময়ূখ সরকার একক ওড়িশী নৃত্য পরিবেশন করেন লীলা নিধি নৃত্যে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশী নৃত্য গুরু প্রমা অবন্তীর, গুরু পৌষালী মুখার্জী, ওড়িশী নৃত্যের প্রবাদ প্রতিম নৃত্যশিল্পী, গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের পুত্রবধূ নৃত্যশিল্পী বিদুষী সুজাতা মহাপাত্রসহ অনেকে।