আজিজুল কদির (চট্টগ্রাম)
বাঁশিতে এক অসাধারণ সম্মোহনী ক্ষমতা আছে। সুরের অসাধারণ এ যন্ত্রটি দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দর্শক শ্রোতাদের অন্তরে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে আছে।
যন্ত্রসঙ্গীতের যে কয়টি যে যন্ত্র মানুষের অন্তরের ভাষা উপযোগী সুর সৃষ্টি করতে পারে, বাঁশী তার অন্যতম। চট্টগ্রামে শাস্ত্রীয় বংশীবাদকে যে কয়জন মেধাবী তরুণ মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন, তাদের মধ্যে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সুমন কুমার নাথ একজন।
বাঁশির পাশাপাশি সুমন কুমার নাথ আরও কয়েকটি বাদ্যযন্ত্র দাপটের সঙ্গে বাজাতে পারেন। তিনি সূরধ্বনির মিউজিক সেন্টারের কর্ণধার। তরুণ বয়সী এ শিল্পী চেষ্টা করছেন, রাগ সঙ্গীতের সুরে অবগাহন করতে। অল্প সময়ের মধ্যেই মেধাবী তরুণ সুমন কুমার নাথ নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম (বিটিভি) কেন্দ্রে এবং বেতারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৃতিত্বের সাথে যন্ত্র সংগীত বাঁশিতে পরিবেশনা করে আসছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাতটায় “সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গসংগীত পরিষদ বাংলাদেশের” আমন্ত্রণে সুমন কুমার নাথ এর একক বাঁশির পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) গ্যালারি হলে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গসংগীত পরিষদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক রাজিব দাশ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। বংশীধ্বনির পক্ষ থেকে সুমন কুমার নাথ কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় বংশীধ্বনির কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা।
দর্শকদের সামনে সুমন কুমার নাথ এর একক ‘হংসধ্বনি” রাগ এবং শেষে পল্লীধুন এর উপর বাঁশির মনোমুগ্ধকর হৃদয় ছোঁয়া পরিবেশনা উপহার দেয়। তার বাঁশির পরিবেশনার সাথে তবলায় ছিলেন রাজিব চক্রবর্তী ও তানপুরায় মিথিলা দেবী।