ডিজিটাল প্লাটফর্মে অপার সম্ভাবনা রয়েছে : রিপন রহমান

0
474

মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন: পরিচালকদের নামের তালিকার মধ্যে যে নামটি অনেক দর্শক শ্রোতার হৃদয়ে গাঁথা তা হল পরিচালক রিপন রহমান । জন্ম শিক্ষা এবং কর্মজীবন সবই ঢাকায়। এ জগতে মূলত হাতে খড়ি হলো ২০০২ সালে শিশু একাডেমীর আওতাভুক্ত কিশোর থিয়েটারে আর এখান থেকেই হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাওয়া।

সর্বপ্রথম কাজ শুরু হয় উত্তম গুহ’র সাথে তারপর পর্যায়ক্রমে কাফী বীর, তাহের শিপন সহ আরো অনেকের সাথে। তবে সবচাইতে বেশি সময় দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর যাবত কাজ করছেন বিশিষ্ট পরিচালক তাহের শিপন এর সাথে, বর্তমানে তাহের শিপনের প্রধান সহকারী হিসেবে চ্যানেল আইতে কর্মরত। আর এর বাহিরে নিজের পরিচালনায় অনেক কাজ করে থাকেন আর চ্যানেল আইতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে সুনাম করিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজসমূহ রিয়েলিটি শো লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার , ক্ষুদে গান রাজ, সিঙ্গার চ্যানেল আই কিংবদন্তি পুরস্কার, এসো রোবট বানাই ইত্যাদি। এখনো চলমান রয়েছে ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ। দেশের বাইরেও বিভিন্ন কাজ হয়েছে এর মধ্যে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড চ্যানেল আই বেস্ট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। রিয়েলিটি শো নাটক ছাড়া মাঝেমধ্যে তিনি কিছু youtube content ও বানান, এর মধ্যে ইউটিউবে সিডি ভিশন এর প্রযোজনা এবং তার পরিচালনায় একটি নাটক মফিজ স্যার এর ভিউ এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। পরিচালকের সাথে আলোচনা করে তার মূল ব্যস্ততার কারণ জানা গেছে এই ঈদে তার পরিচালিত চারটি নাটক যথাক্রমে গোলেমালে চণ্ডীপাঠ ( এনটিভি ), হলুস্থুল প্রেম ( মাছরাঙ্গা ), প্রেমিকার বাসা খালি ( চ্যানেল আই ), ধোকাবাজ ( আর টিভি ) প্রচারিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

পরিচালকের এত ব্যস্ততার মাঝে আলাপ প্রসঙ্গে জানা যায় তার বিয়ের বয়স ৮ কিন্তু এই বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরো ৮ বছর , তার মানে হলো প্রেমের বয়স ৮ এবং বিয়ের বয়স ৮ সর্বমোট ১৬ বছরের যোগাযোগ । আর তার সেই প্রিয়তমার নাম হলো শারমিন সুলতানা ঊর্মি, তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী একটি প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত রয়েছেন, এর ফাঁকে তিনি অভিনয় ও করেন। যেহেতু তিনিও থিয়েটার কর্মী ছিলেন এই অঙ্গনের তার কোন অপ্রাপ্তি আছে নাকি জিজ্ঞাসা করা হলে পরিচালক রিপন রহমান বলেন আসলে আমার প্রাপ্তিটাই বেশি, অপ্রাপ্তি নেই বললেই চলে। তবে আমরা যখন কাজ করতে যাই তখন অনেক সময় অভিনেতা অভিনেত্রীরা সময়ের মূল্যায়ন না করার কারণে সমস্যায় পড়ে যাই, আবার বাজেট স্বল্পতার কারণে শুটিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাইনা । সময় বেশি পেলে হয়তো কাজগুলো আরো সুন্দর করতে পারতাম।


আর এই অঙ্গনে সম্ভাবনা কি দেখছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, “বর্তমানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইদানিং আমাদের নাটক ছবি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে, এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি রাস্তা প্রসারিত হচ্ছে।” সবশেষে তার ইচ্ছে বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি রয়েছে প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, “পরিচ্ছন্ন একটা চলচ্চিত্র দেশবাসীকে উপহার দিয়ে নিজের সুনাম অর্জন।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here