দীপিকার কর্মঘণ্টা বিতর্ক: কাজলের অভিজ্ঞতায় বলিউডের অন্দরের ছবি
আতিকুর রহমান
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 16, 2025 ইং
আনন্দ বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের কর্মঘণ্টা এবং পারিশ্রমিক নিয়ে চলমান বিতর্ক এবার মুখ খুলিয়ে আনল নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজলকে। সদ্য মা হওয়া দীপিকার দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার সিদ্ধান্তে যখন 'স্পিরিট' সিনেমা থেকে তার বাদ পড়া নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে, তখন কাজল তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে।
জানা গেছে, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'স্পিরিট'-এ দীপিকার অভিনয় করার কথা থাকলেও, মা হওয়ার পর তার কাজের সময়সীমা আট ঘণ্টার মধ্যে বেঁধে রাখা, উচ্চ পারিশ্রমিক এবং ছবির লভ্যাংশ ভাগাভাগি নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে দীপিকা সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনা বলিউডে কর্মরত মায়েদের কাজের শর্ত এবং তাদের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অন্যদিকে, অভিনেত্রী কাজল এই ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেন যে, নব্বইয়ের দশকে কাজ শুরু করার পর থেকেই তার কাছে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা সবসময়ই অগ্রাধিকার ছিল। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজল জানান, "আমি সেই অল্প কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে একজন ছিলাম, যারা একবারে একটি ছবিতে কাজ করতাম; একসঙ্গে চারটি সিনেমা করিনি। একটা সিনেমা শেষ করতাম, তারপর আরেকটা শুরু করতাম। ২০-৩০ ঘণ্টা কাজ করতে পারিনি। আমি সব সময়ই নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বাইরে কাজ করতে চাইনি। আমার মা-ও আমাকে এতে বড় সময় সমর্থন দিয়েছেন।"
কাজল তার ব্যক্তিগত জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রযোজকদের সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, 'ইউ মি আওর হাম'-এর শুটিংয়ের সময় যখন তার বাবা হাসপাতালে ছিলেন এবং মেয়ে নাইসার বয়স মাত্র দুই বছর, তখন অজয় দেবগন (যিনি ছবির প্রযোজকও ছিলেন) পুরো পরিস্থিতি সামলেছিলেন, যাতে তিনি হাসপাতালে সময় দিতে পারেন। ফানা'র মতো ছবিতে কাজ করার সময়ও সহকর্মীরা যথেষ্ট সহযোগিতামূলক ছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। কাজল জোর দিয়ে বলেন, বেশিরভাগ সময় প্রযোজক এবং চারপাশের মানুষ অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং সে অনুযায়ী সহযোগিতা করেন।
দীপিকার এই দাবি এবং কাজলের অভিজ্ঞতা বলিউডের তারকাদের কর্মজীবন, মাতৃত্ব এবং পারিবারিক দায়িত্বের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে এনেছে। এটি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন প্রজন্মের মায়েদের জন্য কাজের আরও নমনীয় পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :