বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের মেগাস্টার শাকিব খান বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। কিছুদিন আগেই ঢাকার ব্যস্ততা ছেড়ে পাড়ি জমান ‘প্রিয়তমা’ খ্যাত এই নায়ক। দেশ ছাড়ার আগে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ছেলে শেহজাদ খান বীরকে সঙ্গে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তার। কথা রেখেছেন তিনি—নিয়েছেনও। আর এবার সেই বীরকে নিয়ে নিউ ইয়র্কে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল শাকিব খান ও বীরের মা চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে।

যদিও শাকিব খোলাখুলিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার খবর দিয়েছিলেন, বুবলী অনেকটাই নীরবে পৌঁছে যান মার্কিন মুলুকে। মিডিয়ায় কোনো ঘোষণা ছাড়াই ছেলে বীরকে নিয়ে পৌঁছান নিউ ইয়র্কে। তবে গোপনীয়তা ভেদ করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি সব কিছু স্পষ্ট করে দিয়েছে।

ছবিগুলোতে দেখা যায়, রুজভেল্ট আইল্যান্ডের এক শান্তিপূর্ণ পার্কে সময় কাটাচ্ছেন শাকিব-বুবলী ও তাদের ছেলে বীর। কালো একটি গাড়ি থেকে তিনজনকে একসঙ্গে নামতে দেখা যায়। শাকিবের হাত ধরে হাঁটছে ছোট্ট বীর, আর তাদের পেছনে হাসিমুখে হাঁটছেন মা বুবলী। এমন দৃশ্যের প্রতিচ্ছবিতে ফুটে উঠেছে এক শান্ত, পরিপূর্ণ পারিবারিক মুহূর্ত।

রোববার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুবলী পোস্ট করেন ছবিগুলো। সেখানে তাদের তিনজনকে একান্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। কিছু ছবিতে শাকিব-বুবলীকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তেও দেখা গেছে, যা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেক ভক্ত।

ধারণা করা হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের জনাকীর্ণ বাঙালি এলাকায় ভিড় এড়িয়ে ছেলেকে নিয়ে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্যই রুজভেল্ট আইল্যান্ডকেই বেছে নিয়েছেন এই তারকা জুটি। শান্ত প্রকৃতি ও পরিবারকেন্দ্রিক পরিবেশের জন্য এই জায়গাটি স্থানীয়দের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয়।

এর আগেও বড় ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন শাকিব খান। তখন তিনি বলেছিলেন, “আমি চাই আব্রাহামের মনে থাকুক সুন্দর এই স্মৃতিগুলো।” এবার সেই একই চেষ্টায় আছেন বীরকে ঘিরে। নিজের দুই ছেলেকে নিয়েই তার আলাদা ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে ব্যক্তি জীবন নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চললেও সন্তানদের নিয়ে শাকিব খান সবসময় ছিলেন সজাগ ও আন্তরিক। শোবিজ জগতে বাবা হিসেবে শাকিবের এমন দৃষ্টান্ত অনেকে ইতিবাচক চোখেই দেখছেন।

শুধু নায়ক নয়—এবার প্রমাণ হলো, শাকিব খান একজন যত্নবান পিতা এবং পরিবারমুখী মানুষও। নিউ ইয়র্কের রুজভেল্ট আইল্যান্ডে একান্ত এই সময় কাটানো মুহূর্তগুলো সেই প্রমাণ আরও একবার দৃঢ় করলো।